
হোবাইব সজিব
কালারমারছড়ায় কোস্টগার্ডের অভিযানে এলাকায় আতঙ্ক; শহীদ তানভীর ছিদ্দিকীর পরিবারের সদস্য ও বিএনপি সমর্থিত পরিবারগুলো বলছেন—নির্বিচার হামলা চলছে।
গতকাল ১৮ অক্টোবর শনিবার ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলা এক অভিযানে কক্সবাজার সাগর সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (কোস্টগার্ড) ও অন্যান্য যৌথ বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন এলাকার বর্ষীয়ান কৃষক ও মৎস্যজীবী মোহাম্মদ আলী। গ্রেপ্তারকৃত আলী স্থানীয়দের বর্ণনায় এক নির্মল-সহজ মানুষ; তার দুই ছেলে কলেজে অধ্যয়নরত এবং মেয়ে সদ্য কক্সবাজার মহিলা কলেজে এইচএসসি ভর্তি হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন—শিক্ষিত সন্তানের বাবা হিসেবে তিনি কখনোই অস্ত্র বহন করবেন না।
স্থানীয় একটি পরিবার—শহীদ তানভীর ছিদ্দিকীর পরিবার—ও বিএনপি সমর্থিত কয়েকটি পরিবারের ওপর গত কয়েক মাস ধরে অভিযানের ধারাবাহিকতায় অনিয়ম ও হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন। তারা বলছেন, পাহাড়ভূমি ও অবহেলিত বহির্ভূত এলাকায় অস্ত্র ও সন্ত্রাসীদের আস্তানা থাকার তথ্য থাকলেও স্থানীয় গ্রামে তল্লাশি করে নিরপেক্ষভাবে না, বরং বিএনপি সমর্থিত পরিবারগুলোকে লক্ষ্য করে ওই অভিযান চলছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন যে, গত কয়েক মাসে কালারমারছড়া ইউনিয়নের পাহাড়ে কয়েকজন দুষ্কৃতী কোস্টগার্ডের সঙ্গে প্রকাশ্যে মহড়া ও ছবি-ভিডিও প্রকাশ করেছে; তথাপি পাহাড়ভিত্তিক আস্তানায় উপযুক্ত অভিযান হয়নি। তারা আরও বলছেন—গ্রেপ্তারের নাট্যশৈলী ও লাইভ সম্প্রচারের ব্যবস্থায় ঢাকার বড় চ্যানেলের কর্মীর উপস্থিতি, স্থানীয় সাংবাদিকদের অনুপস্থিতি, এবং গ্রাম বাংলার মাঝখানে অস্ত্র উদ্ধারের দৃশ্য স্থানীয় মানুষকে সন্দিহান করেছে।
অভিযোগে একটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো, মহেশখালী ও কক্সবাজার প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে স্থানীয়রা বলছেন—আদালতের মাধ্যমে গ্রেপ্তার ও বিচারের ব্যবস্থা নেয়া যেতো; নাটকীয়ভাবে জনসমক্ষে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এছাড়া পরিবার ও স্থানীয়রা বলেন—তল্লাশির নামে বৃদ্ধ, নারী ও সাধারণ পথচারীদের ভীত করা বা হয়রানি করা হচ্ছে; এটা বন্ধ রাখার অনুরোধ করেছেন তারা।
এ ঘটনার পর থেকেই মহেশখালী ও কক্সবাজারের সাংবাদিক সমাজের মধ্যে প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে—অনেকে অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে বলছেন এবং নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি উঠেছে।


