
শেখ আব্দুল্লাহ ::
মহেশখালীর সার্বিক উন্নয়ন, সম্ভাবনা ও সমস্যা নিয়ে নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমরান মাহমুদ ডালিমের সঙ্গে কর্মরত সাংবাদিকদের এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ে এক উষ্ণ ও আন্তরিক পরিবেশে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় মহেশখালী প্রেসক্লাবের সভাপতি জয়নাল আবেদীন, মহেশখালী উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আ ন ম হাসানসহ উপজেলার বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত পরিচিত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন—গাজী আবু তাহের, আমিনুল হক, এম বশির উল্লাহ, এস এম রুবেল, ফারুক ইকবাল, মোহাম্মদ তারেক, শেখ আব্দুল্লাহ নুরুল করিম, আজিজ সিকদার, সাহাব উদ্দিন সিকদার প্রমুখ।
সভায় সাংবাদিকরা মহেশখালীর বিশেষ বৈশিষ্ট্য, সম্ভাবনা এবং দীর্ঘদিনের সমস্যা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
তাঁরা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন—
মহেশখালীর ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি পানের জিআইও এবং আন্তর্জাতিক বাজারে আরও পরিচিত করার উদ্যোগ।
দ্বীপাঞ্চলের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ শুটকির জিআই (ভৌগোলিক নির্দেশক) সার্টিফিকেশন নিয়ে গতি আনা।
পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ সোনাদিয়া দ্বীপ সংরক্ষণ ও টেকসই ব্যবস্থাপনা।
দেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন প্রকল্প মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ও সংশ্লিষ্ট শিল্পজোন বাস্তবায়নে স্থানীয় স্বার্থ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
ধলঘাটা, গোরকঘাটা, কালারমারছড়া, হোয়ানকসহ বিভিন্ন এলাকার জনদুর্ভোগ, সড়ক সমস্যা, জেলে সম্প্রদায়ের জীবন-জীবিকা, মৎস্যসম্পদ রক্ষা—এসব বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন।
সাংবাদিকরা বলেন, মহেশখালী বাংলাদেশের একমাত্র দ্বীপ উপজেলা এবং এটি অর্থনীতি, পর্যটন, সামুদ্রিক সম্পদ, জ্বালানি এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে দ্রুত উত্থান ঘটছে। এ সময়ে প্রশাসন, গণমাধ্যম এবং জনগণের সমন্বিত সহযোগিতা অত্যন্ত জরুরি।
নবাগত ইউএনও ইমরান মাহমুদ ডালিম সাংবাদিকদের বক্তব্য গুরুত্ব সহকারে শোনেন এবং বলেন—“মহেশখালীর উন্নয়ন সম্ভাবনা বিশাল। আপনাদের মতো দায়িত্বশীল সাংবাদিকরা সমাজের সমস্যা তুলে ধরলে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে প্রশাসন আরও সক্ষম হয়। উন্নয়ন, সুশাসন, সেবা ও নাগরিক কল্যাণ নিশ্চিত করতে প্রশাসন সর্বদা গণমাধ্যমের সহযোগিতা প্রত্যাশা করে।”
তিনি আরও জানান, স্থানীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন, পরিবেশ সংরক্ষণ, জনসেবার মান বাড়ানো, আইন শৃঙ্খলা রক্ষা এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলোর গতি সচল রাখতে তিনি সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করবেন।
মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিক ও ইউএনও ভবিষ্যতে আরও ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। পুরো অনুষ্ঠান জুড়ে ছিল আন্তরিকতা, সৌহার্দ্য এবং মহেশখালীর ভবিষ্যৎ উন্নয়ন নিয়ে আশাবাদ।


